মেহেরপুর প্রতিনিধি:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ হোসেন গাংনী উপজেলা যুবলীগৈর সভাপতি পদে দীর্ঘ ১৮ বছর দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার (১৩ মে) সকাল ১১ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে তাঁর গাংনী বাজারস্থ যুবলীগের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারন তথা দলীয় ঐক্যেও স্বার্থে নির্বাচন থেকে সওে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোশাররফ হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কারনে তিনি ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই নির্বাচনে যে সমস্ত নেতাকর্মী সমর্থক ভাই ও বোনেরা আমাকে সমর্থন জানিয়ে আসছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, পাশাপাশি নির্বাচন থেকে সওে দাঁড়ানোর জন্য যে কষ্ট পেয়েছেন তার জন্য আপনাদের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদেও সাথে ছিলাম আগামীতেও একসাথে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে লড়াই সংগ্রামে থাকবো ইনশাল্লাহ। আমি আশা করছি এবারের নির্বাচন উৎসব মূখর হবে। আপনারা ২১ মে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং পছন্দের প্রার্থীকে আপনাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আগামী দিনের প্রতিনিধি করবেন।
এসময় উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শফি কামাল পলাশ, ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন পাশা, আওয়ামী যুবলীগের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি সেক্রেটারী সহ অসংখ্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে গাংনী উপজেলা সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আর কোন সুযোগ নেই। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও নির্বাচনে এবং ব্যালট পেপারে তার প্রতীক থাকবে।
উল্লেখ্য, একই কারন দেখিয়ে গত রোববার বিকেলে দোয়াত কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি পত্মী লায়লা আরজুমান বানু শিলা নির্বাচন থেকে সওে দাাঁড়িয়েছেন।
একই ভাবে চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করীমও নির্বাচন থেকে সওে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন।